নিয়ম কানুন ও আচরন বিধি

শিক্ষার্থীদের অবশ্যই করণীয়
০১। সকল শিক্ষার্থীকে মহান আল্লাহকে রব, মুহাম্মদ (সাঃ) কে রাসুল ও নেতা হিসেবে এবং আল কুরআনকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
০২। নিয়মিত লেখা পড়া করতে হবে এবং যথাসময়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। নিয়মিত প্রাত্যাহিক সমাবেশ ও এসেম্বলিতে অংশগ্রহণ করা।
০৩। নিয়মিত নামাজ পড়া এবং ধর্মীয় বিধি নিষেধ যথাযথ মেনে চলা। সামর্থ্যানুযায়ী নফল ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তোলা।
০৪। মাদরাসা কর্তৃক অনুমোদিত পোষাকে ক্লাস করতে হবে। ছাত্রদের জন্য সাদা পায়জামা, সাদা পাঞ্জাবি,  সাদা টুপি এবং (১ম -৪র্থ) ছাত্রীদের জন্য সাদা পায়জামা, নেভি ব্লু কামিজ,  সাদা স্কার্ফ (৫ম-আলিম) কালো বোরখা,  সাদা হিজাব আবশ্যক।
০৫। নিয়মিত ডায়েরি মেইনটেইন করা। শিক্ষক ডায়েরিতে মন্তব্য লিখলে অভিভাবককে তা অবহিত করা ও পুনরায় তা শিক্ষককে দেখানো।
০৬। শ্রেণিকক্ষে অবস্থানকালে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়া, শ্রেণির কাজ ও বাড়ির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা এবং তা বিষয় শিক্ষককে দেখানো, দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়ে নিজ আসনে অবস্থান করা।
০৭। চুল, নখ, দাঁত নিয়মিত পরিস্কার রাখা। চুল ও নখ ছোট রাখা। চুল সর্বোচ্চ ১ইঞ্চি রাখা ও মাথা ন্যাড়া না করা।
০৮। প্রাতিষ্ঠানিক সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা।
০৯। কমপক্ষে ১টি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।
১০। অভিভাবক সমাবেশে নিজ নিজ অভিভাবকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে শ্রেণি শিক্ষক / বিষয় শিক্ষক / গাইড শিক্ষক / উপাধ্যক্ষ / অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে অভিভাবকের যোগাযোগে সহায়তা করা।

শিক্ষার্থীদের অবশ্যই বর্জনীয়
০১। বিলম্বে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া এবং প্রাত্যাহিক সমাবেশে অনুপস্থিতি অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

০২। ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা যাবে না। । ছুটি ভোগ করার পুর্বেই আবেদনের মাধ্যমে তা অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। আকষ্মিক/গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও সনদসহ অধ্যক্ষ বরাবর ছুটি মন্জুরের জন্য আবেদন করতে হবে। সঙ্গত কারনে ৩দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে উপস্থিতির দিন অভিভাবক কর্তৃক আবেদন দাখিল করতে হবে। প্রতিষ্ঠানে আসার পর ছুটির দরকার হলে অবশ্যই অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে তা অনুমোদন করতে হবে।

০৩। ক্লাস /পরীক্ষা চলাকালীন জন্মদিন পালন, বিয়ে অনুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল ইত্যাদি উপলক্ষে ছুটির অনুরোধ করা যাবে না। কারন এগুলো শুধু সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট করে না বরং তার ক্লাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীর ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় এবং পাঠ গ্রহণ ব্যহত করে।

০৪। ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসের বাইরে থাকা যাবে না। বারান্দায়, সিড়িতে, ক্যাম্পাসের সামনে, আশপাশের গলিতে, হোস্টেলে অবস্থান করা যাবে না। ছুটির পর অকারণে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করা ও অযথা ঘোরাঘুরি করা যাবে না।

০৫। ক্লাসে মুল্যবান দ্রব্য সামগ্রী যেমন এন্ড্রয়েড ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, দামী ঘড়ি, সোনার আংটি,যে কোনো ডিভাইস, প্রয়োজনের অতিরিক্ত নগদ টাকা, অপাঠ্য বই, গাইডবই, খেলাধুলার সামগ্রী যেমন ক্রিকেট বল, ব্যাট, টেনিসবল, ব্যাডমিন্টন,রেকেট,হকিস্টিক ইত্যাদি নিয়ে আসতে পারবে না।

০৬। যে কোনো পরীক্ষায় অসুদোপায় অবলম্বন না করা।

০৭। ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে ধুমপান করা বা পান খাওয়া কিংবা এধরনের নেশা জাতীয় অনাকাঙ্খিত দ্রব্য গ্রহণ করা ও সঙ্গে রাখা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

০৮। কোনো প্রকার মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে আসা যাবে না। অভিভাবকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র বাটন মোবাইল অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

০৯। ব্লাকবোর্ড, হোয়াইট বোর্ড, ডেস্ক, টেবিল, দেওয়াল, দরজা, জানালা, বাথরুমে আজেবাজে, অশালীন ও অপ্রয়োজনীয় কিছু লেখা কিংবা পায়ের ছাপ দেওয়া।
১০। প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পদ নষ্ট করা যাবে না।

অভিভাবকদের জন্য জ্ঞাতব্য বিষয়
১। নিজ নিজ সন্তানের মাদরাসায় উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
২। বিনা অনুমতিতে সন্তান মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকলে প্রতিষ্ঠানকে অবগত করানো।
৩। মাদরাসার ইউনিফর্ম পরিধান করে মাদরাসায় আসার ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া।
৪। সন্তানের মানোন্নয়নে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের আহ্বানে সাড়া দেয়া।
৫। মাদরাসার ডায়েরী নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও স্বাক্ষর করা।
৬। মাদরাসা কর্তৃক ঘোষিত অভিভাবক সমাবেশে উপস্থিত থাকা।
৭। সন্তানের কল্যাণ কামনায় নিয়মিত আল্লাহর নিকট দু‘আ করা।
৮। মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকে সম্পূর্ণ নিরুৎসাহিত করা।
৯। নিরাপদ সড়কের নিয়ম মেনে চলাচল করা।
১০। নির্ধারিত সময়ে মাদরাসার বেতন, ফীসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা।